Barrister rumin farhana biography of rory

রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।[৫][৬] তিনি ২০১৯ সালের ২৮ মে জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৫০ নং আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][৭] তিনি ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। [৮] তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন ।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

রুমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অলি আহাদ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক। তার দাদা আবদুল ওহাব ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার ছিলেন। রুমিন হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস্‌ ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।[৯]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

রুমিন পরিবার থেকেই রাজনৈতিক দীক্ষা পান। তার পিতা অলি আহাদ ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নায়ক। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এ কারণে উনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। অলি আহাদ তার জীবনের দীর্ঘ ১৯ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রুমিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন।[১০]

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

রুমিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। ব্যারিস্টার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আইনি পেশায় কাজ করেন। ২৮ মে ২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ নং আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫]একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।[৯][১১] ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকার গোলাপবাগে আয়োজিত বিএনপির গণ-সমাবেশে তিনি সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি আইন ও রাজনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশী লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টেরউচ্চ আদালত বিভাগের আইনজীবী।[৩] এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।[১২]

প্রকাশিত গ্রন্থ

[সম্পাদনা]

  • আমাদের রোজনামচা (২০১৮)[১২]
  • যতটুকু বলতে পেরেছি (২০২২)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]